ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোবিপ্রবির ছাত্রী হলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত

News Desk
  • আপডেট সময় : ১১:২৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ৪৫ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ছাত্রী হল হজরত বিবি খাদিজা হলে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস এবং মালেক হলের ছেলেরা গিয়ে আগুন নেভায়।

জানা যায়, বিবি খাদিজা হলের ৩০৬ নম্বর রুমের শর্ট সার্কিটের ফলে নিচতলার পেছনের সিঁড়িযুক্ত বৈদ্যুতিক মিটার বক্সে আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডে বৈদ্যুতিক মিটার বক্সটি পুড়ে যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে হল থেকে বেরিয়ে আসেন ছাত্রীরা। এ সময় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জানা গেছে, বিকট শব্দে হলের মেয়েরা বাইরে বেরিয়ে আসে। দুইজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে এবং একজন সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তারা সুস্থ হন।পরে ছাত্ররা এসে আগুন নিভিয়েছে। ৩০৭ ও ৩০৬ নং রুমে গিয়ে ব্যাপক ধোঁয়া লক্ষ্য করা যায়। ভোর ৪টার পর ফায়ার সার্ভিস যখন এসেছে আগুন তখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। আগুনের ঘটনায় হল ছেড়ে বের হওয়ার সময় দুই জন পায়ে আঘাত পেয়েছেন।

হলের শিক্ষার্থীরা জানান, এ ঘটনায় তৃতীয় তলার দ্বিতীয় ব্লকের দুটি কক্ষে কিছু তার পুড়েছে। অন্যান্য কক্ষের লাইট থেকেও শর্ট সার্কিট হয়েছে। আগুনে তার গলে গেছে।

সকাল ৯টায় বিবি খাদিজা হলের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক। তিনি বিদ্যুতের সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী ও দ্রুত সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন এবং হলের অন্যান্য সমস্যা নিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে আজ একটা মতবিনিময় করবেন বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর  মামুন মিয়া বলেন, ‘ইলেক্ট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত। রাত সোয়া ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘস্থটনালে উপস্থিত হই। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। মালেক হলের ছেরাও লেগিয়ে আগুন নেভায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই হলটি পুরনো। হলে যে তারগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলোর ফ্যান, লাইট চালানোর সক্ষমতা রয়েছে। আগের তারগুলো স্ট্রং মানের ছিল না। যার ফলে রাইস কুকার, হিটার, ইনডাকশন চালানোর লোড নিতে পারে না।

এদিকে, এ ঘটনার কারণে বৃহস্পতিবারের সব পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নোবিপ্রবির ছাত্রী হলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় : ১১:২৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ছাত্রী হল হজরত বিবি খাদিজা হলে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস এবং মালেক হলের ছেলেরা গিয়ে আগুন নেভায়।

জানা যায়, বিবি খাদিজা হলের ৩০৬ নম্বর রুমের শর্ট সার্কিটের ফলে নিচতলার পেছনের সিঁড়িযুক্ত বৈদ্যুতিক মিটার বক্সে আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডে বৈদ্যুতিক মিটার বক্সটি পুড়ে যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে হল থেকে বেরিয়ে আসেন ছাত্রীরা। এ সময় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জানা গেছে, বিকট শব্দে হলের মেয়েরা বাইরে বেরিয়ে আসে। দুইজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে এবং একজন সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তারা সুস্থ হন।পরে ছাত্ররা এসে আগুন নিভিয়েছে। ৩০৭ ও ৩০৬ নং রুমে গিয়ে ব্যাপক ধোঁয়া লক্ষ্য করা যায়। ভোর ৪টার পর ফায়ার সার্ভিস যখন এসেছে আগুন তখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। আগুনের ঘটনায় হল ছেড়ে বের হওয়ার সময় দুই জন পায়ে আঘাত পেয়েছেন।

হলের শিক্ষার্থীরা জানান, এ ঘটনায় তৃতীয় তলার দ্বিতীয় ব্লকের দুটি কক্ষে কিছু তার পুড়েছে। অন্যান্য কক্ষের লাইট থেকেও শর্ট সার্কিট হয়েছে। আগুনে তার গলে গেছে।

সকাল ৯টায় বিবি খাদিজা হলের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক। তিনি বিদ্যুতের সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী ও দ্রুত সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন এবং হলের অন্যান্য সমস্যা নিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে আজ একটা মতবিনিময় করবেন বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর  মামুন মিয়া বলেন, ‘ইলেক্ট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত। রাত সোয়া ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘস্থটনালে উপস্থিত হই। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। মালেক হলের ছেরাও লেগিয়ে আগুন নেভায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই হলটি পুরনো। হলে যে তারগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলোর ফ্যান, লাইট চালানোর সক্ষমতা রয়েছে। আগের তারগুলো স্ট্রং মানের ছিল না। যার ফলে রাইস কুকার, হিটার, ইনডাকশন চালানোর লোড নিতে পারে না।

এদিকে, এ ঘটনার কারণে বৃহস্পতিবারের সব পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।