দিন যত যাচ্ছে শেয়ারবাজারের পতন ততো বাড়ছে ,মূলধন কমেছে ১৩ হাজার কোটি টাকা
- আপডেট সময় : ০৫:০৭:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
শেয়ারবাজারে গতি ফিরাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইস) নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। বাজারকে উত্থানে ফিরাতে নতুন চেয়ারম্যান দফায় দফায় বাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে গ্রুপ কোম্পানিগুলোর সাথেও আলোচনা করছে। তবে এতেও স্বস্তি ফিরছে না শেয়ারবাজারে। সর্বশেষ বিদায়ী সপ্তাহে শেয়ারবাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা হারালো আরো ১৩ হাজার কোটি টাকা।প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ২০০ পয়েন্ট। বাজারটিতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, তার থেকে প্রায় ছয়গুণ প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে। সেই সঙ্গে গড় লেনদেন কমে প্রায় অর্ধেকে দাঁড়িয়েছে।
দিন যত যাচ্ছে শেয়ারবাজারের পতন ততো বাড়ছে। আর বিনিয়োগ করা পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।অন্তর্বর্তী সরকারের সপ্তম সপ্তাহে ডিএসইতে মাত্র ৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। বিপরীতে দাম কমে ৩৪৯টির। এতে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৫৭টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৩১টির। আর ৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় ৫ দশমিক ৮১ গুণ বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ১১৫ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬২১ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমেছে। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ৯ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমেছে ১৭৬ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। এর আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৯৬ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। তার আগের ছয় সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৮৮ পয়েন্ট। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া আট সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক সব মিলিয়ে কমেছে ৪৬০ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২৬ কোটি ২১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৬৭৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ২৫৩ কোটি ৯ লাখ টাকা বা ৩৭ দশমিক ২৬ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোনের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১৭ কোটি ১ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সোস্যল ইসলামী ব্যাংক, এমজেএল বাংলাদেশ, ইবনে সিনা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, প্রগতী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এডিএন টেলিকম এবং সোনালী আঁশ।