দেশের মানুষের নিরাপত্তাই বড় চ্যালেঞ্জ

- আপডেট সময় : ০৩:১৮:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯৩ বার পড়া হয়েছে
৫ই আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং পট পরিবর্তনের দিন । দীর্ঘ ১৫ বছর দেশ শাসনের পর আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হয়। আওয়ামীলীগ সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশ ত্যাগ করে ভারতে অবস্থান নেন। পরবর্তীতে নোবেল বিজয়ী ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস প্রধান উপদেষ্টার শপথ গ্রহণ করে উপদেষ্টা মন্ডলীসহ একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু হয়। এই যাত্রাতে প্রাথমিক এবং সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠে আইনশৃঙ্খলা। মানুষ তার জান মালের নিরাপত্তা চায়। দ্রব্যমূলের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জান মালের নিরাপত্তা। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা থাকলে সাধারণ মানুষের আপাতত অন্য সমস্যাগুলো মেনে নিয়েই বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাই কাজ করে যাবে। সাধারণ মানুষ অতীতের সকল অপকর্মের নিশ্চিত বন্ধ এবং পুনরায় আর দেখতে চায় না। তারা শান্তিতে ঘুমাতে চায়। শুনতে চায় না খুন, গুম, চুরি, ডাকাতি,ছিনতাই, রাহাজানি, লাঞ্ছনা।জনগন মানসিক শান্তি চায়। ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে একটু বেকাদায় পরে। বড় দল গুলোর মধ্যে বিএনপি নেতারা সমাবেশ করে দ্রুত নির্বাচনে রোড ম্যাপ চাচ্ছে। অন্যদিকে জামাত সময় দিতে চাচ্ছে এ নিয়ে বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যে অনেক মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যা ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস এর জন্য শান্তির। আবার ইসলামী দলগুলো সময় দিতে চাচ্ছে তার মধ্যে কিছু বক্তারা ডঃ ইউনুসের গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সুদ, সুদের হার এবং এনজিও পরিচালকদের সমালোচনা করছেন। ডক্টর ইউনুস ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি অবলোকন করে সমাধানের চেষ্টা করছেন। বারবার বিভিন্ন দলের সাথে বৈঠক করে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপির স্পষ্টত আন্দোলন এবং অবস্থানের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলার উন্নতির জন্য সরাসরি অ্যাকশনে যাওয়াটা একটু কঠিন। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ এই অবস্থা চলতে থাকলে কখনোই সমর্থন দিবে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম কে। মানুষ শান্তিতে দরজা খুলে ঘুমাতে পারলে এই মানুষকে রাস্তায় নামানো রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য অত্যন্ত কঠিন হবে এবং তখন ডক্টর ইউনুস স্বাধীনভাবে দেশ চালাতে পারবেন। রাজনৈতিক দলগুলো সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক মনোভাব থাকায় তাদের প্রয়োজনীয়তা আর দেখা দিবে না। অন্যদিকে দখল বাণিজ্যে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এলাকায় ছাড়া হওয়ায় আওয়ামী লীগের সাথে সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে নেই বললেই চলে। কিন্তু সংঘর্ষ চলছে মৃত্যু হচ্ছে। এতে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনীর সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই। এবারের সেনাবাহিনীর কার্যক্রম বিগত দিনের তুলনায় ব্যাতিক্রমধর্মী, আইনের ব্যাঘাত ঘটে এমন কিছু করছে না তারা। মানুষের ভয়-ভীতির পরিবর্তে মানুষ কো-অপারেটিভ হচ্ছে এটি একটি বড় দিক। প্রকৃত অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সুবিধা হবে কেননা পুলিশ নিষ্ক্রিয় তাই তাদের গোয়েন্দা সংস্থা এবং সোর্সদের উপর নির্ভর করে শতভাগ অপরাধীদের নিশ্চিত করা কঠিন। অন্যদিকে মূল দুই বড় দলের একদলের কর্মীরা এলাকায় না থাকায় তাদের লোকজনও কথা না বলায় বিশেষ কোনো সমীক্ষার বা সাজেশন এর ভিত্তিতে অপারেশন না চালালে মূল হোতারা ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে যাবে। সমাজ থেকে সন্ত্রাসী ,মাদক,চাঁদা বাজি, লুটতরা্ ডাকাতি স্বপ্ন হয়ে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর যেহেতু বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানটিই মাঠে কর্মরত। মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি তারা সেই প্রত্যাশা সেই স্বপ্নের আশা-আকাঙ্ক্ষার পুরন দেখতে চায়।