ঢাকা ০১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেগমগঞ্জে গ্যাসক্ষেত্রে ১৮০ বিলিয়ন ঘনফুট মজুতের সন্ধান

News Desk
  • আপডেট সময় : ১০:০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রে নতুন গ্যাসের স্তর পাওয়া গেছে। এখানে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুত ১৮০ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ)। এই মজুত থেকে আগামী ২০ বছর ধরে দিনে ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। পাইপলাইনের কাজ শেষ করে আগামী ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হতে পারে।

বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) জানিয়েছে, বেগমগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রের একটি কূপ থেকে বর্তমানে দিনে সাত মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। গত ২৯ এপ্রিল ৪ নম্বর উন্নয়ন কূপ খনন শুরু হয়। ৩ হাজার ১৩৩ মিটার গভীরতা পর্যন্ত খনন শেষে তিনটি স্তরে পর্যাপ্ত গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, বর্তমানে প্রতি ইউনিট (ঘনমিটার) গ্যাসের গড় বিক্রয় মূল্য ২২ টাকা ৮৭ পয়সা। এ হিসাবে ১৮০ বিসিএফ গ্যাসের মূল্য প্রায় ১১ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। তবে আমদানি করা এলএনজির দামের সঙ্গে তুলনা করলে আবিষ্কৃত গ্যাসের দাম অনেক বেশি। কূপ খনন প্রকল্পে আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

পেট্রোবাংলার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের ওয়াছেকপুর গ্রামে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপের খনন শেষ হয় ১৫ জুলাই। গত ১২ আগস্ট ও ১৮ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ১০ থেকে ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাসের প্রবাহ নিশ্চিত হয়। এক স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলন শেষে অন্য স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) কূপ থেকে প্রাপ্ত গ্যাস আঞ্চলিক সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করতে হলে আনুমানিক ৩ কিলোমিটার গ্যাস পাইপলাইন স্থাপন করতে হবে। এটি ডিসেম্বরে শেষ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। উত্তোলন শুরু হলে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্যাসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ওয়াছেকপুরের গ্যাস কূপে পরীক্ষামূলক আগুন জ্বালানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বেগমগঞ্জে গ্যাসক্ষেত্রে ১৮০ বিলিয়ন ঘনফুট মজুতের সন্ধান

আপডেট সময় : ১০:০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রে নতুন গ্যাসের স্তর পাওয়া গেছে। এখানে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুত ১৮০ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ)। এই মজুত থেকে আগামী ২০ বছর ধরে দিনে ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। পাইপলাইনের কাজ শেষ করে আগামী ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হতে পারে।

বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) জানিয়েছে, বেগমগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রের একটি কূপ থেকে বর্তমানে দিনে সাত মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। গত ২৯ এপ্রিল ৪ নম্বর উন্নয়ন কূপ খনন শুরু হয়। ৩ হাজার ১৩৩ মিটার গভীরতা পর্যন্ত খনন শেষে তিনটি স্তরে পর্যাপ্ত গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, বর্তমানে প্রতি ইউনিট (ঘনমিটার) গ্যাসের গড় বিক্রয় মূল্য ২২ টাকা ৮৭ পয়সা। এ হিসাবে ১৮০ বিসিএফ গ্যাসের মূল্য প্রায় ১১ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। তবে আমদানি করা এলএনজির দামের সঙ্গে তুলনা করলে আবিষ্কৃত গ্যাসের দাম অনেক বেশি। কূপ খনন প্রকল্পে আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

পেট্রোবাংলার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের ওয়াছেকপুর গ্রামে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপের খনন শেষ হয় ১৫ জুলাই। গত ১২ আগস্ট ও ১৮ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ১০ থেকে ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাসের প্রবাহ নিশ্চিত হয়। এক স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলন শেষে অন্য স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) কূপ থেকে প্রাপ্ত গ্যাস আঞ্চলিক সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করতে হলে আনুমানিক ৩ কিলোমিটার গ্যাস পাইপলাইন স্থাপন করতে হবে। এটি ডিসেম্বরে শেষ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। উত্তোলন শুরু হলে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্যাসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ওয়াছেকপুরের গ্যাস কূপে পরীক্ষামূলক আগুন জ্বালানো হয়েছে।