থানার লুট হওয়া অস্ত্র নয় অজ্ঞাত ব্যক্তির গুলিতে প্রাণ গেছে রিয়াজের -পরিবারের দাবি
- আপডেট সময় : ১০:২০:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
গত ৫ই আগস্ট সরকার পতনের খবরে চাটখিল থানায় ঢুকে লুট করে নিয়ে আসা হয় অস্ত্র। পুলিশের অস্ত্র নিজের কোমরে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে স্থান ত্যাগের সময় পথিমধ্যে আত্মঘাতী বুলেট লাগে মো. ইমতিয়াজ হোসেন রিয়াজের পায়ে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মো. ইমতিয়াজ হোসেন রিয়াজ পেশায় ছিলেন কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারি ম্যান। তবে পরিবারের দাবি থানা লুট নয় অজ্ঞাত ব্যক্তির অস্ত্রের গুলিতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে প্রাণ গেছে রিয়াজের।
ইমতিয়াজ হোসেন রিয়াজ চাটখিল উপজেলার হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের ওয়ারী মিয়া বেপারী বাড়ির মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবরে ৫ আগস্ট বিকেলে সোনাইমুড়ী থানায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে উত্তেজিতজনতা। তার প্রায় এক ঘণ্টা পর একই ঘটনা ঘটে চাটখিল থানায়। প্রাণভয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যায় পুলিশ। উত্তেজিত জনতা থানা লুট করে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। সেদিন থানা থেকে লুট করা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ইমতিয়াজ নামের একজন আত্মঘাতী গুলিতে আহত হন। তারপর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। উন্নত চিকিৎসায় ঢাকায় নেওয়া হয়।
ইমতিয়াজের বাবা হাবিবুর রহমান দাবি করছেন, তার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার ছেলের পেটে গুলি লেগেছে। থানার অস্ত্র লুট করেছে মানলাম কিন্তু সে অস্ত্র যদি তার কোমরে থাকে তাহলে পায়ে বা মাথায় গুলি লাগার কথা। পেটের ভেতরে গুলি লাগার কথা নয়। আমার ছেলেকে থানার অস্ত্র দিয়েই অজ্ঞাত কেউ হত্যা করেছে। তবে আমি আমার সন্তানের হত্যার বিচার চাই।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, সেদিন দুর্বত্তরা থানায় আক্রমণ করতে আসলে পুলিশ ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। পরে তারা থানায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালায় । সেদিন একটা ছেলের আহত হওয়ার খবর আমরা পেয়েছি কিন্তু পরিচয় পাওয়া যায়নি।