ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সুবর্ণচরে কৃষি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নোয়াখালীতে প্রস্তুত ১৮৩টি পূজা মণ্ডপ, প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার দেশের মানুষের নিরাপত্তাই বড় চ্যালেঞ্জ পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে যুবলীগ নেতা শহীদকে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে ভেসাল জাল বিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা দুই দিনের বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আগামী কয়েক দিনে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস কাদের মির্জা ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন সুবর্ণচরে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় গৃহবধূকে নির্যাতন: আটক ৪ ২১ দিনে ২১৬টি অস্ত্র উদ্ধার,গ্রেপ্তার ৯২ জন

নিরাপদ পানির অভাবে নোয়াখালীবাসী, বাড়ছে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা

News Desk
  • আপডেট সময় : ০৩:০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ঘরবাড়ির পাশাপাশি তলিয়ে গেছে নলকূপ। তাই নিরাপদ পানি উঠছে না সেই নলকূপ দিয়ে। ফলে দুর্গত এলাকায় এখন পানির জন্য হাহাকার চলছে। তবে যেসব এলাকায় ত্রাণ পৌঁছায়, সেখানে কিছুটা বোতলজাত পানির দেখা পান বন্যার্তরা। যদিও তা একেবারে নগণ্য। এজন্য লোকজনও খুব হিসাব করে পানি পান করছেন। বিশুদ্ধ পানির সংকটের পাশাপাশি বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াজানিত রোগ। বেড না পাওয়ায় হাসপাতালের মেঝে ও চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে ঠাঁই নিয়েছে রোগীরা। এ ছাড়া হাসপাতালে প্রচুর সাপে কাটা রোগীও আসছে।

জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, বন্যাকবলিত উপজেলায় ধীরগতিতে পানি কমতে শুরু করেছে। টানা দুই দিন সূর্যের দেখা পাওয়ায় জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে। তবে জেলাজুড়ে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ দিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় দুর্গম এলাকাগুলোতে ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না।

বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায়—বেশিরভাগ এলাকার ঘরবাড়ি এখনও কোমরসমান পানির নিচে। নৌকাই এখন যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। সড়কের পাশের ঘরবাড়িগুলোতেও কোমরসমান পানি। যে কারণে ভেঙে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। টয়লেট, বাথরুমগুলোও পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ছে বন্যার পানিতে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত এই দুটি কারণে বন্যাকবলিত এলাকায় এখন চর্মরোগ, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। তারা বলছেন, যে এলাকায় বন্যা হয়। সেখানে বন্যা-পরবর্তী সময়ে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ দেখা দেয়। এবার যেহেতু নোয়াখালীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। তাই পানিবন্দি এলাকায় এখন পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়বে। ত্রাণসহায়তা প্রদানের পাশাপাশি এখন প্রশাসনকে পানিবাহিত রোগ মোকাবিলায় কাজ করতে হবে।

নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানান , প্রতিনিয়ত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।  চর্মরোগীর সংখ্যাও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ডায়রিয়ার প্রকোপ যাতে মহামারি আকারে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য আমরা বন্যাকবলিত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে। চর্মরোগের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। আক্রান্তদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সেবা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নিরাপদ পানির অভাবে নোয়াখালীবাসী, বাড়ছে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা

আপডেট সময় : ০৩:০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ঘরবাড়ির পাশাপাশি তলিয়ে গেছে নলকূপ। তাই নিরাপদ পানি উঠছে না সেই নলকূপ দিয়ে। ফলে দুর্গত এলাকায় এখন পানির জন্য হাহাকার চলছে। তবে যেসব এলাকায় ত্রাণ পৌঁছায়, সেখানে কিছুটা বোতলজাত পানির দেখা পান বন্যার্তরা। যদিও তা একেবারে নগণ্য। এজন্য লোকজনও খুব হিসাব করে পানি পান করছেন। বিশুদ্ধ পানির সংকটের পাশাপাশি বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াজানিত রোগ। বেড না পাওয়ায় হাসপাতালের মেঝে ও চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে ঠাঁই নিয়েছে রোগীরা। এ ছাড়া হাসপাতালে প্রচুর সাপে কাটা রোগীও আসছে।

জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, বন্যাকবলিত উপজেলায় ধীরগতিতে পানি কমতে শুরু করেছে। টানা দুই দিন সূর্যের দেখা পাওয়ায় জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে। তবে জেলাজুড়ে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ দিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় দুর্গম এলাকাগুলোতে ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না।

বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায়—বেশিরভাগ এলাকার ঘরবাড়ি এখনও কোমরসমান পানির নিচে। নৌকাই এখন যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। সড়কের পাশের ঘরবাড়িগুলোতেও কোমরসমান পানি। যে কারণে ভেঙে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। টয়লেট, বাথরুমগুলোও পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ছে বন্যার পানিতে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত এই দুটি কারণে বন্যাকবলিত এলাকায় এখন চর্মরোগ, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। তারা বলছেন, যে এলাকায় বন্যা হয়। সেখানে বন্যা-পরবর্তী সময়ে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ দেখা দেয়। এবার যেহেতু নোয়াখালীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। তাই পানিবন্দি এলাকায় এখন পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়বে। ত্রাণসহায়তা প্রদানের পাশাপাশি এখন প্রশাসনকে পানিবাহিত রোগ মোকাবিলায় কাজ করতে হবে।

নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানান , প্রতিনিয়ত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।  চর্মরোগীর সংখ্যাও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ডায়রিয়ার প্রকোপ যাতে মহামারি আকারে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য আমরা বন্যাকবলিত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে। চর্মরোগের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। আক্রান্তদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সেবা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।