ঢাকা ০১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও আগুন

News Desk
  • আপডেট সময় : ১০:৪৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪ ২৮১ বার পড়া হয়েছে

কোটা আন্দোলন ও সরকার পতনকে ঘিরে নোয়াখালীর বিভিন্ন আওয়ামীলীগ নেতাদের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ ও ভাংচুর করা হয় ।

গত জুলাইয়ে দেশের সাধারণ ছাত্ররা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুত্রপাত ঘটায়।   তাদের মূল লক্ষ্য ছিল দেশের সকল ছাত্রছাত্রীরা যাতে সমান অধীকার ভোগ করতে পারে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের দিকে । গত ৪ই আগষ্ট নোয়াখালীতে পার্টি অফিসে আগুন দেয় আন্দোলনরত জনগনেরা। পরে তাদের আন্দোলন প্রায় শেষের দিকে গড়ালে তারা একটি মিছিল নিয়ে মাইজদী বাজারের দিকে প্রস্থান করে। পরে তারা ভট্ট বাড়ির উপর আক্রমন চালায়। সেখানে নোয়খালী জেলা যুবলীগের আহ্বাবায়ক ইমন ভট্টের বাড়ি ভাংচুর সহ ৪ টি গাড়িতে আগুন দেয় এবং ভট্ট মেডিকেল ভাংচুর করে দোকানের ঔসধ লুটপাট করে নেয় দুর্বৃত্তরা। নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মানাফাত এগ্রোতে হামলা করে দুর্বৃত্ত্ রা এবং এগ্রো থেকে গরু লুট করে নিয়ে যায় । এই হামলায় তার নিজস্ব একটি পিক আপ এ আগুন দেয় তারা। সেনবাগ আসনের এম,পি এর নিজস্ব প্রতিষ্ঠান চৌমুহনী বাজারের উল্লেখযোগ্যা শপিং কমপ্লেক্স মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সে ভাংচুর করা হয়। নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিনের বাড়িতে হামলা করা হয় । বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাতুলের বাড়িতে ভাংচুর । হাতিয়া উপজেলার ১নং হরণি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বাড়িতে ভাংচুর ও লূটপাট করা হয় । মাইজদী বাজারের জিসান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট , মদিনা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।

৫ই আগষ্ট সকাল থেকে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীসহ বিভিন্ন উপজেলায় আন্দোলন করে শীক্ষার্থীরা । তখন তারা রাস্তায় গাড়ীর টায়ারে আগুন এবং রাস্তা অবরোধ করে রাখে। সরকার পদত্যাগের খবর শুনার পর থেকে নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের বাড়িতে,পার্টি অফিসে, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর এবং আগুন ।এছাড়াও চাটখিল উপজেলার বিভিন্ন আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে ভাংচুর করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নোয়াখালীতে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও আগুন

আপডেট সময় : ১০:৪৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

কোটা আন্দোলন ও সরকার পতনকে ঘিরে নোয়াখালীর বিভিন্ন আওয়ামীলীগ নেতাদের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ ও ভাংচুর করা হয় ।

গত জুলাইয়ে দেশের সাধারণ ছাত্ররা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুত্রপাত ঘটায়।   তাদের মূল লক্ষ্য ছিল দেশের সকল ছাত্রছাত্রীরা যাতে সমান অধীকার ভোগ করতে পারে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের দিকে । গত ৪ই আগষ্ট নোয়াখালীতে পার্টি অফিসে আগুন দেয় আন্দোলনরত জনগনেরা। পরে তাদের আন্দোলন প্রায় শেষের দিকে গড়ালে তারা একটি মিছিল নিয়ে মাইজদী বাজারের দিকে প্রস্থান করে। পরে তারা ভট্ট বাড়ির উপর আক্রমন চালায়। সেখানে নোয়খালী জেলা যুবলীগের আহ্বাবায়ক ইমন ভট্টের বাড়ি ভাংচুর সহ ৪ টি গাড়িতে আগুন দেয় এবং ভট্ট মেডিকেল ভাংচুর করে দোকানের ঔসধ লুটপাট করে নেয় দুর্বৃত্তরা। নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মানাফাত এগ্রোতে হামলা করে দুর্বৃত্ত্ রা এবং এগ্রো থেকে গরু লুট করে নিয়ে যায় । এই হামলায় তার নিজস্ব একটি পিক আপ এ আগুন দেয় তারা। সেনবাগ আসনের এম,পি এর নিজস্ব প্রতিষ্ঠান চৌমুহনী বাজারের উল্লেখযোগ্যা শপিং কমপ্লেক্স মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সে ভাংচুর করা হয়। নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিনের বাড়িতে হামলা করা হয় । বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাতুলের বাড়িতে ভাংচুর । হাতিয়া উপজেলার ১নং হরণি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বাড়িতে ভাংচুর ও লূটপাট করা হয় । মাইজদী বাজারের জিসান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট , মদিনা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।

৫ই আগষ্ট সকাল থেকে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীসহ বিভিন্ন উপজেলায় আন্দোলন করে শীক্ষার্থীরা । তখন তারা রাস্তায় গাড়ীর টায়ারে আগুন এবং রাস্তা অবরোধ করে রাখে। সরকার পদত্যাগের খবর শুনার পর থেকে নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের বাড়িতে,পার্টি অফিসে, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর এবং আগুন ।এছাড়াও চাটখিল উপজেলার বিভিন্ন আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে ভাংচুর করা হয়।