এক পিয়ন মালিক হয়েছেন ৪০০ কোটি টাকার প্রধানমন্ত্রী নিজেই দিলেন এমন তথ্য,তিনি গনভবনেই কাজ করতেন ।প্রভাব বিস্তার তদবির বাণিজ্য করেই কি এত অর্থ সম্পদের মালিক হলেন এই পিয়ন ? নাকি পিছনে রয়েছে অন্য গল্প মানুষের প্রশ্নের শেষ নেই ,হতে চেয়েছেন এম পি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে যাচ্ছে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলতে থাকবে। আমরা এখন দুর্নীতিবাজদের ধরতে পারছি বলেই সবাই জানতে পারছে। আমার বাসায় কাজ করে গেছে, সেই পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক। সে হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। আর, এটাই বাস্তব কথা।
, আমি যখন জানলাম সঙ্গে সঙ্গে তাকে (পিয়ন) বাসা থেকে বের করে দিয়েছি। তার কার্ড-টার্ড (পরিচয়পত্র) সব বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছি। ধরার পড়ার পরই এখন সবাই জানতে পেরেছে। এর পর পরই প্রশ্ন উঠে কে এই পিয়ন পরবর্তীতে জানা যায় তিনি জাহাঙ্গীর আলম ।তার বাড়ি নোয়াখালীতে তিনি গত সংসদীয় নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম কিনেন নোয়াখালী ০১ চাটখিল সোনাইমুড়ি আসন থেকে তখন তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠে এবং গনবভন থেকে তাকে বের করে দেওয়ার একটি বিজ্ঞপ্তি বের হয় যাহা বিভিন্ন মিডিয়াতে আসে পরবর্তীতে মনোনয়ন ফরম তুলে নেন।
জাহাঙ্গিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংস্থা ইতিমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের কাজ করছে নিশেধাজ্ঞা না থাকায় যে কোন সময় দেশ ত্যাগ করতে পারেন বলে ধারনা করা হচ্ছে তার সাথে যোগাযোগের বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও যাচ্ছেনা মুঠোফোন বন্ধ । তার ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তার সকল ব্যাংক হিসাব চাওয়া হয়েছে ।একাধিক প্লট-ফ্ল্যাটের মালিক জাহাঙ্গীর। ধানমন্ডিতে স্ত্রীর নামে আড়াই হাজার বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। নোয়াখালীর মাইজদী শহরের হরিনারায়ণপুরে আট তলা একটি বাড়ি রয়েছে। সেটিও স্ত্রীর নামে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও নিউমার্কেটে দুটি দোকান রয়েছে তার। মিরপুরে একটি সাত তলা ভবন ও দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে।য়ী, জাহাদ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় জাহাঙ্গীর কৃষিখাত থেকে প্রতি বছর ৪ লাখ টাকা, বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে সাড়ে ১১ লাখ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে ৯ লাখ টাকা এবং চাকরি থেকে ৬ লাখ নিজের নামে আড়াই কোটি টাকা ও স্ত্রীর নামে ব্যাংকে প্রায় সোয়া এক কোটি টাকা ছিল। ডিপিএস ছিল পৌনে তিন লাখ টাকা, এফডিআর সোয়া এক কোটি টাকা। স্ত্রীর নামে কিনেছেন গাড়ি। বিভিন্ন কোম্পানিতে কোটি টাকার শেয়ারও রয়েছে।
তিনি গাজীপুরের এপিজেডঃ জুট বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন ,সাভারেও জুটের বাণিজ্য সাথে যুক্ত ছিলেন ।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মচারী হয়েও বেক্তিগত সহকারীর পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে তদবির বাণিজ্য করে ঢাকা এবং ঢাকার বাহিরে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন।
নোয়াখালীতেও এই জাহাঙ্গির চক্রের সাথে অনেকে যুক্ত গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়।