কুলি থেকে রিকশাচালক পরবর্তীতে পিএসসি চেয়ারম্যানের গাড়িচালিয়ে হলেন কোটিপতি

- আপডেট সময় : ১০:২২:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪ ২২১ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর হাত ধরে অনেকেই হয়েছেন বিসিএস ক্যাডার।সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ১৭ জনের মধ্যে রয়েছে আবেদ আলী এবং তার পুত্র সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম।
বি সি এস এর ২৪তম ব্যাচে আবেদ আলীর প্রশ্নফাসের বিষয়টির ব্যাপকতা বাড়ে। পরে ২৫তম ব্যাচে প্রশ্নফাঁস বিষয়টি ধরা পড়ে। তখন সৈয়দ আবেদ আলীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়েছিল।
কর্মজীবনের শুরুতে রেইলওয়ে স্টেশনের কুলি থেকে হয়েছেন রিকসাচালক, পরে পি এস সি চেয়ারম্যানের গাড়িচালক থেকে কোটিপতি হয়ে গেছেন সৈয়দ আবেদ আলী।
আবেদ আলী মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম বোতলা গ্রামের আব্দুর রহমান মীরের ছেলে। তারা এক বোন, তিন ভাই। বোনের স্বামী ও দুই ভাই কৃষিকাজ করেন; আবেদ আলীর বাবাও কৃষক ছিলেন।কালকিনি উপজেলা ভেঙে ডাসারকে নতুন উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হলে , উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য প্রচারণা শুরু করেন আবেদ আলী। এলাকায় ‘দানবীর’ নামে পরিচিত ছিলেন তিনি । এলাকায় তিনি ও তার ছেলে সিয়াম ‘কোটি টাকা’ দামের গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করতেন বলে জানা যায়। স্থানীয় মসজিদ, মন্দির, এতিমখানা ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে টাকা দান করতেন তিনি।আবেদ আলীর বড় ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি আলোচনায় আসার পর তাকে বহিষ্কার করে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ।
ডাসার ইউনিয়নের কমলাপুর বাজার সংলগ্ন একটি সেতুর পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি লক্ষ্যে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন আবেদ আলী।এ বিষয়ে ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ আফরোজ জানান, কমলাপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জমিতে আবেদ আলী নামে একজন ভবন তুলছিলেন। আমরা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে অসমাপ্ত ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে চিঠি দিয়েছি।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশীদ বলেন, পিএসসি’র সাবেক ড্রাইভার সৈয়দ আবেদ আলী জীবনের সম্পত্তির ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।