ঢাকা ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সুবর্ণচরে কৃষি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নোয়াখালীতে প্রস্তুত ১৮৩টি পূজা মণ্ডপ, প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার দেশের মানুষের নিরাপত্তাই বড় চ্যালেঞ্জ পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে যুবলীগ নেতা শহীদকে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে ভেসাল জাল বিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা দুই দিনের বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আগামী কয়েক দিনে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস কাদের মির্জা ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন সুবর্ণচরে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় গৃহবধূকে নির্যাতন: আটক ৪ ২১ দিনে ২১৬টি অস্ত্র উদ্ধার,গ্রেপ্তার ৯২ জন

শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

News Desk
  • আপডেট সময় : ১২:০৪:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

আজ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের এই দিনে স্বদেশে ফিরে আসেন তিনি। ওই দিন সারা দেশ থেকে আসা লাখো মানুষ তাঁকে স্বাগত জানান, ভালোবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর দলটির সহযোগী এবং ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। নোয়াখালীতেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করেছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

‘দিল্লি-লন্ডনে দেখা করতে চেয়েছিলেন জিয়া-খালেদা’

এসময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী এবং ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নির্বাসিত জীবন, দেশে ফেরা ও পরবর্তী নানা ঘটনা তুলে ধরে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধুকন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পূর্বে বিদেশে যাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করেছিলাম আমরা খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবো। কিন্তু সেই ফিরে আসা আর হয়নি।’

আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি জানতাম না যে, আমাকে এতবড় একটা দায়িত্ব দেওয়া হবে। আমি কখনো এটা ভাবতে পারিনি।

ছোটবোন শেখ রেহানার বিয়েতে অংশ নিতে পারেননি বলে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কিন্তু যখন তার বাচ্চা হবে, মিসেস গান্ধী আবার ক্ষমতায় এলেন, তিনি সব ব্যবস্থা করে দিলেন, আমি গেলাম। এরপর আবার দিল্লিতে ফেরত এলাম। তখন আমাকে লন্ডন থেকে আওয়ামী লীগের নেতা মাহবুবুর রহমান টেলিফোন করে বললেন আপনাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে। আমি তাকে বললাম আমি তো আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে চাই না, আমাকে কেন করবে? আওয়ামী লীগের অনেক নেতা আছে।

১৯৮১ সালের ১৭ মে-এর ঘটনা বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সেদিন সাধারণ মানুষ সেখানে গিয়েছিল। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বক্তব্য রাখলাম, সবচেয়ে বড় কথা হলো আমি যখন যাই তখন কামাল, জামাল, রোজি, খুকি সবাই বিমানবন্দরে ছিল। আমি যখন ফিরে এলাম হাজার হাজার মানুষ কিন্তু আমি পেলাম বনানীতে সারি সারি কবর।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

আপডেট সময় : ১২:০৪:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

আজ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের এই দিনে স্বদেশে ফিরে আসেন তিনি। ওই দিন সারা দেশ থেকে আসা লাখো মানুষ তাঁকে স্বাগত জানান, ভালোবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর দলটির সহযোগী এবং ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। নোয়াখালীতেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করেছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

‘দিল্লি-লন্ডনে দেখা করতে চেয়েছিলেন জিয়া-খালেদা’

এসময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী এবং ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নির্বাসিত জীবন, দেশে ফেরা ও পরবর্তী নানা ঘটনা তুলে ধরে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধুকন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পূর্বে বিদেশে যাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করেছিলাম আমরা খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবো। কিন্তু সেই ফিরে আসা আর হয়নি।’

আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি জানতাম না যে, আমাকে এতবড় একটা দায়িত্ব দেওয়া হবে। আমি কখনো এটা ভাবতে পারিনি।

ছোটবোন শেখ রেহানার বিয়েতে অংশ নিতে পারেননি বলে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কিন্তু যখন তার বাচ্চা হবে, মিসেস গান্ধী আবার ক্ষমতায় এলেন, তিনি সব ব্যবস্থা করে দিলেন, আমি গেলাম। এরপর আবার দিল্লিতে ফেরত এলাম। তখন আমাকে লন্ডন থেকে আওয়ামী লীগের নেতা মাহবুবুর রহমান টেলিফোন করে বললেন আপনাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে। আমি তাকে বললাম আমি তো আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে চাই না, আমাকে কেন করবে? আওয়ামী লীগের অনেক নেতা আছে।

১৯৮১ সালের ১৭ মে-এর ঘটনা বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সেদিন সাধারণ মানুষ সেখানে গিয়েছিল। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বক্তব্য রাখলাম, সবচেয়ে বড় কথা হলো আমি যখন যাই তখন কামাল, জামাল, রোজি, খুকি সবাই বিমানবন্দরে ছিল। আমি যখন ফিরে এলাম হাজার হাজার মানুষ কিন্তু আমি পেলাম বনানীতে সারি সারি কবর।