ঢাকা ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের বাণিজ্যিক জাহাজ আব্দুল্লাহর ওপর নজর রাখছে ‘অপারেশন আটলান্টা’

News Desk
  • আপডেট সময় : ০৬:০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪ ১১৫ বার পড়া হয়েছে

জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ সোমালিয়া উপকূলের ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করেছে। জলদস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে ‘গ্যারাকাড’ নামক এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নোঙর করেছে দস্যুরা। তবে সুস্থ আছেন জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিক। তবে আগের দস্যুদের সঙ্গে জাহাজটিতে নতুন করে যোগ দিয়েছে আরো ১৫-২০ জন সশস্ত্র দস্যু।

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশের বাণিজ্যিক জাহাজ আব্দুল্লাহর ওপর অপারেশন আটলান্টা নজর রাখছে বলে জানা যায়। কিছুদিন আগে ওই অঞ্চলে এমভি রুয়েন নামের আরেকটি জাহাজ জলদস্যুতার শিকার হয়েছিল। ওই জাহাজটি যারা ছিনিয়ে নিয়েছিল সেই একই জলদস্যু গ্রুপ এমভি আবদুল্লাহর ঘটনায় জড়িত বলে ধারণা করছে ‘অপারেশন আটলান্টা’।

সোমালিয়া উপকূলে অর্থাৎ নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিকে নিয়ে যাওয়ার পর নাবিকদের নিজ নিজ কেবিনে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে জলদস্যুরা। এর আগে সবাই জাহাজটির ডেকের কক্ষে জিম্মি অবস্থায় ছিল। সব নাবিক সুস্থ আছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় কবির গ্রুপের কর্মকর্তাদের ফোন করে এ তথ্য জানান জিম্মি জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খান। তিনি বলেন, জলদস্যুরা জাহাজটিকে সোমালিয়ায় তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিয়ে গেছে। নাবিকরা সকলে সুস্থ আছেন। জাহাজসহ জিম্মি নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বিএমএমওএর সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা সর্বশেষ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের অবস্থান শনাক্ত করেছি। জাহাজটিকে জলদস্যুরা তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সোমালিয়া উপকূল থেকে ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে নোঙর করেছে।

জাহাজটিতে জিম্মি এক বাংলাদেশি নাবিক জানিয়েছেন, ‘দুটি বড় বড় ফ্রিগেট আসছিল। সব ইকুইপমেন্ট নিয়ে। কিন্তু  জলদস্যুরা এসবে ভয় পায় না। কারণ তারা আমাদের জিম্মি করে রাখে। আমাদের মাথায় গুলি ধরে রাখে। আমাদের তারা রেস্ট্রিকটেড করে রাখে। তবে এখন পর্যন্ত আঘাত করেনি। সবাই একটা রুমে ঘুমাচ্ছি। একটা ওয়াশরুম ব্যবহার করছি।’

জাহাজটিতে জিম্মি নাবিক সাইদুজ্জামান সাঈদ স্বজনদের কাছে জানান, মুক্তিপণ দেওয়া না হলে একে একে মেরে ফেলা হবে সবাইকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত জলদস্যুরা জাহাজ মালিক পক্ষকে ফোন করে কোনো দাবি-দাওয়া জানায়নি বলে জানা যায়।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাহাজটি উদ্ধারের তৎপরতা চালাচ্ছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশের বাণিজ্যিক জাহাজ আব্দুল্লাহর ওপর নজর রাখছে ‘অপারেশন আটলান্টা’

আপডেট সময় : ০৬:০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪

জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ সোমালিয়া উপকূলের ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করেছে। জলদস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে ‘গ্যারাকাড’ নামক এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নোঙর করেছে দস্যুরা। তবে সুস্থ আছেন জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিক। তবে আগের দস্যুদের সঙ্গে জাহাজটিতে নতুন করে যোগ দিয়েছে আরো ১৫-২০ জন সশস্ত্র দস্যু।

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশের বাণিজ্যিক জাহাজ আব্দুল্লাহর ওপর অপারেশন আটলান্টা নজর রাখছে বলে জানা যায়। কিছুদিন আগে ওই অঞ্চলে এমভি রুয়েন নামের আরেকটি জাহাজ জলদস্যুতার শিকার হয়েছিল। ওই জাহাজটি যারা ছিনিয়ে নিয়েছিল সেই একই জলদস্যু গ্রুপ এমভি আবদুল্লাহর ঘটনায় জড়িত বলে ধারণা করছে ‘অপারেশন আটলান্টা’।

সোমালিয়া উপকূলে অর্থাৎ নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিকে নিয়ে যাওয়ার পর নাবিকদের নিজ নিজ কেবিনে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে জলদস্যুরা। এর আগে সবাই জাহাজটির ডেকের কক্ষে জিম্মি অবস্থায় ছিল। সব নাবিক সুস্থ আছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় কবির গ্রুপের কর্মকর্তাদের ফোন করে এ তথ্য জানান জিম্মি জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খান। তিনি বলেন, জলদস্যুরা জাহাজটিকে সোমালিয়ায় তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিয়ে গেছে। নাবিকরা সকলে সুস্থ আছেন। জাহাজসহ জিম্মি নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বিএমএমওএর সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা সর্বশেষ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের অবস্থান শনাক্ত করেছি। জাহাজটিকে জলদস্যুরা তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সোমালিয়া উপকূল থেকে ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে নোঙর করেছে।

জাহাজটিতে জিম্মি এক বাংলাদেশি নাবিক জানিয়েছেন, ‘দুটি বড় বড় ফ্রিগেট আসছিল। সব ইকুইপমেন্ট নিয়ে। কিন্তু  জলদস্যুরা এসবে ভয় পায় না। কারণ তারা আমাদের জিম্মি করে রাখে। আমাদের মাথায় গুলি ধরে রাখে। আমাদের তারা রেস্ট্রিকটেড করে রাখে। তবে এখন পর্যন্ত আঘাত করেনি। সবাই একটা রুমে ঘুমাচ্ছি। একটা ওয়াশরুম ব্যবহার করছি।’

জাহাজটিতে জিম্মি নাবিক সাইদুজ্জামান সাঈদ স্বজনদের কাছে জানান, মুক্তিপণ দেওয়া না হলে একে একে মেরে ফেলা হবে সবাইকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত জলদস্যুরা জাহাজ মালিক পক্ষকে ফোন করে কোনো দাবি-দাওয়া জানায়নি বলে জানা যায়।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাহাজটি উদ্ধারের তৎপরতা চালাচ্ছেন তারা।