উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের ছড়াছড়ি
- আপডেট সময় : ১০:৪৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪ ১৮১ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্র থেকে কোনো প্রতীক দিচ্ছে না। তার সাথে প্রার্থীও থাকছে না। জেলা থেকে ও প্রার্থী না দেওয়ার নির্দেশ। অন্য দিকে বি, এন , পি অংশগ্রহন করবে না বলেছে ,তার মধ্যেই প্রার্থীদের আধিক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার ৮টিতে। একটি হাতিয়া ব্যাতিক্রম ।উপজেলায় দলীয় সিদ্ধান্ত না থাকায় প্রার্থীরা নিজ নিজ কর্মকান্ড ,যোগ্যতা এবং ব্যক্তিগত কৌশল দিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হতে হবে। আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক কর্মীরা তাদের নিজেরাই নিজেদের সাথে নির্বাচনের মাঠে জয়ী হতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রার্থীর ব্যক্তিগত রাজনৈতিক অর্জন, ইমেজ, পরিচিতি, কর্মকান্ড এবং তার সাথে সাথে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালীরাই ভোটের মাঠে এগিয়ে থাকবে।
সদর উপজেলা—
নোয়াখালী সদর উপজেলায় প্রার্থী হিসেবে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন জেহানের নাম শোনা যাচ্ছে , ছাত্রলীগের ও যুবলীগের কর্মীরা নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি, বর্তমান জেলা যুবলীগের আহবায়ক ইমন ভট্টের ক্লিন ইমেজ, কর্মী বান্ধব এবং ছাত্র ও যুব রাজনীতিতে ধারাবাহিক নেতৃত্বের কারণে তাকে নির্বাচনের মাঠে পেতে চাচ্ছে ।সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান নাছের তিনিও দলীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য শওকত রেজা আরমান চৌধুরীর নাম ও শোনা যাচ্ছে। সদর উপজেলার বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান নূর আলম সিদ্দীকী রাজু তিনি ও এবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান।এছাড়াও উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নাজিম উদ্দিন নাজিমের ব্যানার পোষ্টার ও চোখে পড়েছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা —
উপজেলার চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বাদশার মৃত্যুর পর উপজেলা উপ নির্বাচনে তার স্ত্রী শাহানাজ বেগম নির্বাচিত হন তিনি প্রার্থী হতে পারেন এবারও। নোয়াখালী জেলা জর্জ কোর্টের অতিরিক্ত পি পি এডভোকেট আখতারুজ্জামান আনসারি প্রার্থী হতে চান। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নূর হোসেন মাসুদ তিনিও লড়তে চান উপজেলা চেয়ারম্যান পদে। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহেদ শাহরিয়ার রনি , জেলা যুবলীগের সদস্য জাফর ইকবাল রূপক, ব্যবসায়ী নূর নবী টিপু, সফিউল আলম পিন্টু, সাখায়েত হোসেন আজিম চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন।
সেনবাগ উপজেলা–
সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ চৌধুরী। বি এন পি ভোটে না আসলেও সেনবাগ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন পাটোয়ারীকে প্রার্থী করাতে চাচ্ছেন তৃনমূলের বি এন পি কর্মীরা । তারা মনে করে একাধিক আওয়ামীলীগের প্রার্থী থাকলে তাদের জয় সহজ হবে। সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি বাহার উল্লাহ বাহার, সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের পুত্র সাইফুল ইসলাম দিপু, সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কবির,সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য শামসুদ্দিন আহমেদ রিয়াদ।জাতীয় পার্টি থেকে হাসান মন্জুরের নাম শোনা যাচ্ছে।
চাটখিল উপজেলা—
চাটখিল উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবির, তিনি ৩য় বারের জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে থাকছেন।এছাড়াও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাটখিল উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বেলায়েত হোসেন ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মোঃ ফারুক রহমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বলে জানা গেছে।
সোনাইমুড়ী উপজেলা—
সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে থাকছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন তিনি উপজেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্ত্র জমা দেন।দ্বৈত নাগরিক হওয়ায় মনোনয়ন প্ত্র বাতিল হয়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এই ধরনের বিধি নিষেধ না থাকায় তিনি প্রার্থী হতে বাধা নেই। সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাবুল বাবুর নাম সাধারণ মানুষের আলোচনায় রয়েছে। সাবেক সভাপতি সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ৩ নং সোনাইমুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ হিসেবে মমিনুল ইসলাম বাকেরের নামও শোনা যাচ্ছে , নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম (কিং মোজাম্মেল) সহ সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক নিজাম উদ্দিন সুজন প্রার্থী হতে পারেন।
হাতিয়া উপজেলা —
হাতিয়া উপজেলা থেকে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর পুত্র আশিক আলী অমির নাম শোনা যাচ্ছে , প্রকাশ্যে অন্য কোনো প্রার্থীর নাম আসে নি এখন পর্যন্ত।
কবিরহাট উপজেলা
কবিরহাট উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুনাহার শিউলি।উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের নাম আলোচনায় রয়েছে। তিনি নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর বড় ভাই এবং কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হানের মামা ।অবসর প্রাপ্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনসাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর পরিচালক,সাবেক নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি ডা. জাফর উল্যাহ।উনাকে নিয়েও ভাবছেন কবিরহাটের মানুষ । প্রার্থী হতে পারেন কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স টিটু তিনি গতবারও ভোটে অংশগ্রহন করেছেন।সুন্দলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াস ও প্রার্থী হতে পারেন। সাবেক সেনা প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফীউল হকের চাচাতো ভাই সাবেক কবিরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক শাহীনের নাম ও আলোচনায় রয়েছে।
সুবর্ণচর উপজেলা —
সুবর্ণচর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান, নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ এইচ এন এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম প্রার্থী হতে পারেন।প্রার্থী হতে পারে নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর সন্তান এ অ্যান্ড জে গ্রুপের পরিচালক সাবাব চৌধুরী এবং নাম শোনা যাচ্ছে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান বাহার চৌধুরীর।
সুবর্ণচর উপজেলায় বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম যদি নির্বাচন করেন ওনার সাথে লড়াই হবে সাবাব চৌধুরীর।খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং দলের সাংগঠনিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচন করতে চাইবেন।অন্যদিকে সাবাব চৌধুরী তার পিতা সংসদ সদস্য একরাম চৌধুরীর ইমেজ, তরুন প্রজন্ম ,ছাত্রলীগ, যুবলীগ, ইউনিয়ন পরিষদ গুলোর চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাজে লাগিয়ে জয়ী হতে চাইবেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা–
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন ওনি ওনার নিজ ফেইজবুক আইডিতে নির্বাচনে অংশগ্রহন না করার ঘোষনা দেন। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতির আলোকে ওনি ও প্রার্থী হতে পারেন। আলোচনায় রয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর আপন ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য শাহাদাত হোসেনের ও নাম শোনা যাচ্ছে। ভোটে অংশগ্রহন করতে পারেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপলু।