ঢাকা ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৮০’র দশকে চৌমুহনী এস এ কলেজের সুপরিচিত নেত্রী – ‘কানন’ এখন সংরক্ষিত আসনের এম,পি

News Desk
  • আপডেট সময় : ০১:৪৬:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৫৭৮ বার পড়া হয়েছে

জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের একসাথে জেলে ছিলেন নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর গ্রামের প্রয়াত কমরেড জনাব আবদুল হাদি।নোয়াখালীতে প্রকাশ্যে ‘ন্যাপ’ নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন জনাব আবদুল হাদি।

তিনি ১৯৫০ থেকে ১৯৫৪ পর্যন্ত সময়কালে কারাভোগ করেন এবং নির্যাতনের শিকার হন। কারাভোগের পর তিনি মুক্তি পান।  এমতাবস্থায় আব্দুল হাদীকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত কারাগারে বন্দি রাখা হয় ।পাকিস্তানি শাসনামলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সাথে কারাগারে ছিলেন।কমরেড আব্দুল হাদী ১৯৫৭ সালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে (ন্যাপ) যোগ দিয়ে কাজ করতে থাকেন।পরবর্তীতে গনতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে মৃত্যু বরণ করেন।

তার সুযোগ্য কন্যা জনাব কানন আরা বেগম সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত হন। তিনি গনতন্ত্রী পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান। তার পৈতৃক বাড়ি সোনাইমুড়ী উপজেলার  ৮নং সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে।

৮০’র দশকে চৌমুহনী ছালেহ্ আহম্মদ কলেজের সুপরিচিত নেত্রী – ‘কানন’ এখন সংরক্ষিত আসনের একটিতে নোয়াখালী থেকে মনোনীত এমপি। চৌমুহনী কলেজে অধ্যয়নের সময়ে ছিলেন নোয়াখালী জেলা ছাত্র ইউনিয়নের নেত্রী। বর্তমানে তিনি ১৪ দলীয় জোটের “গণতন্ত্রী পার্টির” কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম মেম্বার। পরিবর্তনের লক্ষ্যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে তিনি সমাজতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের আদর্শিক একজন নিবেদিত প্রাণ।

সংরক্ষিত আসনে মনোনীত এমপি প্রার্থী ‘কানন আরা বেগম’ও পিতা কমরেড আব্দুল হাদী’র পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন। ঘুষ, দুর্নীতি, শোষন, লুন্ঠন, প্রতিক্রিয়াশীলতা, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, বিভিন্ন সময় “কানন” নেতৃত্ব দিয়েছেন, দৃঢ়তার সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রেখেছেন। দেশের ক্রান্তিকালে নোয়াখালী সহ বিভিন্ন এলাকায় ধর্মীয় হাঙ্গামা-সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুটে গিয়েছেন,পীড়িতদের সাহায্য করেছেন। মরণব্যাধি করণাকালে সংক্রমণ উপেক্ষা করে জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে মাঠে – ময়দানে ‘কানন’ ছিলেন বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর।

সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক নারী দিবসে পজেটিভ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কানন’কে ‘সংগ্রামী সফল নারী সংবর্ধনা-২০২১’ প্রদান করা হয়।

নোয়াখালী বাসির আশা প্রত্যাশা সততাকে মূল শক্তি হিসেবে কাজে লাগিয়ে নোয়াখালীর উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় কাজ করে যাবেন, ৮০’র দশকে চৌমুহনী এস এ কলেজের সুপরিচিত নেত্রী – ‘কানন’।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

৮০’র দশকে চৌমুহনী এস এ কলেজের সুপরিচিত নেত্রী – ‘কানন’ এখন সংরক্ষিত আসনের এম,পি

আপডেট সময় : ০১:৪৬:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের একসাথে জেলে ছিলেন নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর গ্রামের প্রয়াত কমরেড জনাব আবদুল হাদি।নোয়াখালীতে প্রকাশ্যে ‘ন্যাপ’ নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন জনাব আবদুল হাদি।

তিনি ১৯৫০ থেকে ১৯৫৪ পর্যন্ত সময়কালে কারাভোগ করেন এবং নির্যাতনের শিকার হন। কারাভোগের পর তিনি মুক্তি পান।  এমতাবস্থায় আব্দুল হাদীকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত কারাগারে বন্দি রাখা হয় ।পাকিস্তানি শাসনামলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সাথে কারাগারে ছিলেন।কমরেড আব্দুল হাদী ১৯৫৭ সালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে (ন্যাপ) যোগ দিয়ে কাজ করতে থাকেন।পরবর্তীতে গনতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে মৃত্যু বরণ করেন।

তার সুযোগ্য কন্যা জনাব কানন আরা বেগম সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত হন। তিনি গনতন্ত্রী পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান। তার পৈতৃক বাড়ি সোনাইমুড়ী উপজেলার  ৮নং সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে।

৮০’র দশকে চৌমুহনী ছালেহ্ আহম্মদ কলেজের সুপরিচিত নেত্রী – ‘কানন’ এখন সংরক্ষিত আসনের একটিতে নোয়াখালী থেকে মনোনীত এমপি। চৌমুহনী কলেজে অধ্যয়নের সময়ে ছিলেন নোয়াখালী জেলা ছাত্র ইউনিয়নের নেত্রী। বর্তমানে তিনি ১৪ দলীয় জোটের “গণতন্ত্রী পার্টির” কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম মেম্বার। পরিবর্তনের লক্ষ্যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে তিনি সমাজতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের আদর্শিক একজন নিবেদিত প্রাণ।

সংরক্ষিত আসনে মনোনীত এমপি প্রার্থী ‘কানন আরা বেগম’ও পিতা কমরেড আব্দুল হাদী’র পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন। ঘুষ, দুর্নীতি, শোষন, লুন্ঠন, প্রতিক্রিয়াশীলতা, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, বিভিন্ন সময় “কানন” নেতৃত্ব দিয়েছেন, দৃঢ়তার সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রেখেছেন। দেশের ক্রান্তিকালে নোয়াখালী সহ বিভিন্ন এলাকায় ধর্মীয় হাঙ্গামা-সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুটে গিয়েছেন,পীড়িতদের সাহায্য করেছেন। মরণব্যাধি করণাকালে সংক্রমণ উপেক্ষা করে জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে মাঠে – ময়দানে ‘কানন’ ছিলেন বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর।

সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক নারী দিবসে পজেটিভ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কানন’কে ‘সংগ্রামী সফল নারী সংবর্ধনা-২০২১’ প্রদান করা হয়।

নোয়াখালী বাসির আশা প্রত্যাশা সততাকে মূল শক্তি হিসেবে কাজে লাগিয়ে নোয়াখালীর উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় কাজ করে যাবেন, ৮০’র দশকে চৌমুহনী এস এ কলেজের সুপরিচিত নেত্রী – ‘কানন’।