ঢাকা ০১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাসে যাত্রী কম, ‘অফিসগামীদের প্রিয় বাহন মেট্রোরেল’

News Desk
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৪:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩ ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধিঃ  বিএনপি-জামাতের ঘোষিত ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজধানীতে । অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে রাস্তায় লেগুনা, বাসের সংখ্যা কম থাকায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ অফিসে যাওয়া-আসা করছেন মেট্রোতে করে। মেট্রোরেলে তিল ধারণের ঠাঁই নেই, তাই অফিসগামীদের প্রিয় বাহন হয়ে উঠেছে মেট্রোরেল।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে ১০ মিনিট পরপর উত্তরার তিনটি স্টেশন থেকে মেট্রোরেল ছাড়তে দেখা গেছে। এসব স্টেশন থেকে প্রতিটি ট্রেনেই যাত্রীবোঝাই করেই পল্লবী স্টেশনে যাচ্ছে। পল্লবীতে অল্পকিছু যাত্রী নামলেও উঠছে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। বেশিরভাগ যাত্রীর গন্তব্য মতিঝিল, সচিবালয়, ফার্মগেট ও আগারগাঁও।

এদিন কথা হয় বাসচালকের সহযোগীদের সঙ্গে। তারা বলছেন, সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অফিসগামী যাত্রীদের ভিড় থাকে। তবে মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর থেকে বাসে তুলনামূলক যাত্রীর সংখ্যা কম। স্বল্পদূরত্বের যাত্রীরা উঠছে না। যাত্রীর অপেক্ষায় বাসগুলোকে দীর্ঘক্ষণ স্ট্যান্ডে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যাত্রীখরায় বেশি ভুগছে মিরপুর থেকে মতিঝিলগামী বাসগুলো।

তবে মিরপুর থেকে সাভার, গাজীপুর, নিউমার্কেট, বাড্ডার গন্তব্যে যাওয়া বাসগুলোকে যাত্রীর জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায়নি।

সকাল সাড়ে ৯টায় পল্লবীতে মতিঝিলগামী শিকড় পরিবহনের ৩টি বাস, বিহঙ্গ পরিবহনের ১টি ও ১টি বিকল্প পরিবহনের বাসকে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

শিকড় পরিবহনের চালকের সহকারী সোহান বলেন, ‘যাত্রী কম। যাত্রীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডাও কম। আগে লোকাল যাত্রী উঠতো বেশি। এখন ডিরেক্ট যাত্রী বেশি। যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যাত্রীরাও তা মেনে নিচ্ছে।’

সদরঘাটের ফল ব্যবসায়ী আরশাদ মিয়া উঠেছেন বিহঙ্গ বাসে। তিনি বলেন, ‘সকালে মেট্রোতে বসে যাওয়া যায় না, এত ভিড় থাকে। আবার টিকিটের লম্বা লাইন। এজন্য বাসেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। এখন রাস্তাও মোটামুটি ফাঁকা থেকে।’

সকালে পল্লবী স্টেশনে দেখা যাত্রীর চাপ। গাদাদগাদি করে যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। তবে অল্পসময়ের গন্তব্য হওয়ায় যাত্রীরা তা মেনে নিয়েছেন। অন্যদিকে যাত্রীদের নিয়ে বেগ পেতে হয়েছে মেট্রো সংশ্লিষ্টদের।

যাত্রীরা জানান, রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অফিস টাইমে মেট্রোতে যাত্রীচাপ থাকবেই। কেননা এটা নিরাপদ ও সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছায়। চাপ সামলাতে ট্রেনের বগি বাড়ানো বা ট্রেন বাড়ানোসহ রাতেও মতিঝিল পর্যন্ত চালুর দাবি যাত্রীদের।

 

সকাল ৯টা ২৮ মিনিটে পল্লবীর মেট্রো স্টেশনে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা শাহনাজ মুন্নি। এসে টিকিটের লম্বা লাইন দেখে কিছুটা চিন্তায় পড়ে যান। টিকিট নিতে নিতে তিনি বলেন, ‘১০টায় অফিস ধরতে আগে ৮টা কিংবা সাড়ে ৮টায় বের হতাম। বের হয়ে বাসে উঠতাম বা সিএনজি নিতাম। এখন বের হই ৯টার পরে। এরপরও ঠিক সময়েই অফিসে পৌঁছাতে পারছি।’

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাসে যাত্রী কম, ‘অফিসগামীদের প্রিয় বাহন মেট্রোরেল’

আপডেট সময় : ০৭:৪৪:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধিঃ  বিএনপি-জামাতের ঘোষিত ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজধানীতে । অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে রাস্তায় লেগুনা, বাসের সংখ্যা কম থাকায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ অফিসে যাওয়া-আসা করছেন মেট্রোতে করে। মেট্রোরেলে তিল ধারণের ঠাঁই নেই, তাই অফিসগামীদের প্রিয় বাহন হয়ে উঠেছে মেট্রোরেল।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে ১০ মিনিট পরপর উত্তরার তিনটি স্টেশন থেকে মেট্রোরেল ছাড়তে দেখা গেছে। এসব স্টেশন থেকে প্রতিটি ট্রেনেই যাত্রীবোঝাই করেই পল্লবী স্টেশনে যাচ্ছে। পল্লবীতে অল্পকিছু যাত্রী নামলেও উঠছে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। বেশিরভাগ যাত্রীর গন্তব্য মতিঝিল, সচিবালয়, ফার্মগেট ও আগারগাঁও।

এদিন কথা হয় বাসচালকের সহযোগীদের সঙ্গে। তারা বলছেন, সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অফিসগামী যাত্রীদের ভিড় থাকে। তবে মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর থেকে বাসে তুলনামূলক যাত্রীর সংখ্যা কম। স্বল্পদূরত্বের যাত্রীরা উঠছে না। যাত্রীর অপেক্ষায় বাসগুলোকে দীর্ঘক্ষণ স্ট্যান্ডে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যাত্রীখরায় বেশি ভুগছে মিরপুর থেকে মতিঝিলগামী বাসগুলো।

তবে মিরপুর থেকে সাভার, গাজীপুর, নিউমার্কেট, বাড্ডার গন্তব্যে যাওয়া বাসগুলোকে যাত্রীর জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায়নি।

সকাল সাড়ে ৯টায় পল্লবীতে মতিঝিলগামী শিকড় পরিবহনের ৩টি বাস, বিহঙ্গ পরিবহনের ১টি ও ১টি বিকল্প পরিবহনের বাসকে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

শিকড় পরিবহনের চালকের সহকারী সোহান বলেন, ‘যাত্রী কম। যাত্রীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডাও কম। আগে লোকাল যাত্রী উঠতো বেশি। এখন ডিরেক্ট যাত্রী বেশি। যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যাত্রীরাও তা মেনে নিচ্ছে।’

সদরঘাটের ফল ব্যবসায়ী আরশাদ মিয়া উঠেছেন বিহঙ্গ বাসে। তিনি বলেন, ‘সকালে মেট্রোতে বসে যাওয়া যায় না, এত ভিড় থাকে। আবার টিকিটের লম্বা লাইন। এজন্য বাসেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। এখন রাস্তাও মোটামুটি ফাঁকা থেকে।’

সকালে পল্লবী স্টেশনে দেখা যাত্রীর চাপ। গাদাদগাদি করে যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। তবে অল্পসময়ের গন্তব্য হওয়ায় যাত্রীরা তা মেনে নিয়েছেন। অন্যদিকে যাত্রীদের নিয়ে বেগ পেতে হয়েছে মেট্রো সংশ্লিষ্টদের।

যাত্রীরা জানান, রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অফিস টাইমে মেট্রোতে যাত্রীচাপ থাকবেই। কেননা এটা নিরাপদ ও সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছায়। চাপ সামলাতে ট্রেনের বগি বাড়ানো বা ট্রেন বাড়ানোসহ রাতেও মতিঝিল পর্যন্ত চালুর দাবি যাত্রীদের।

 

সকাল ৯টা ২৮ মিনিটে পল্লবীর মেট্রো স্টেশনে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা শাহনাজ মুন্নি। এসে টিকিটের লম্বা লাইন দেখে কিছুটা চিন্তায় পড়ে যান। টিকিট নিতে নিতে তিনি বলেন, ‘১০টায় অফিস ধরতে আগে ৮টা কিংবা সাড়ে ৮টায় বের হতাম। বের হয়ে বাসে উঠতাম বা সিএনজি নিতাম। এখন বের হই ৯টার পরে। এরপরও ঠিক সময়েই অফিসে পৌঁছাতে পারছি।’