স্বীকারোক্তি দিয়ে বিপাকে জেলা মৎস কর্মকর্তা

- আপডেট সময় : ০১:২৪:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৯৯ বার পড়া হয়েছে
২৯শে আগষ্ট (মঙ্গলবার) দুপুরে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় নিরাপদ খাদ্যের ভূমিকা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের তোপের মুখে পড়েছেন নোয়াখালী জেলা মৎস কর্মকর্তা।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, যতই নিরাপদ খাদ্যের সেমিনার করা হোক না কেন ওপরে মুরগিুর খামার নিচে মাছের ঘের হলে এসব সেমিনার কোনো কাজে আসবে না। জেনে শুনে জনগন বিষপান করছে বলেন তিনি । তিনি আরো বলেন, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্যের নিশ্চয়তা দিয়েছেন।স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের বিকল্প নেই।ভেজাল যুক্ত খাদ্যের ফলে দিন দিন মানুষের মধ্যে রোগ ব্যাধি বাড়ছে। ছোট ছোট শিশুরাও এই সব রোগের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। দ্রুত জেলা প্রশাসকের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্ববান জানান এবং এই সব খামার বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেন।
এ সময় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় অত্র অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার, চট্টগ্রাম বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস.এম. কায়ছার আলী, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার প্রমুখ সহ আরো অনেকে বক্তব্য দেন।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আমরা মাছের ঘেরের মালিকদের সঙ্গে আলাপ করেছি। মুরগির খামারের নিচে মাছের ঘের বানাতে নিষেধ করা হয়েছে। খুব দ্রুতই এসব খামারির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, নোয়াখালীর সঙ্গে তাহার আত্মার সম্পর্ক রয়েছে , নোয়াখালী তার দাদার বাড়ি। তিনি নোয়াখালীর চৌমুহনী এস এ কলেজে পড়াশোনা করেছেন।তিনি আবারও নোয়াখালী আসার ইচ্ছে রাখেন।নোয়াখালীর জন্য কাজ করতে চান বলে জানান তিনি।