ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নৈতিক বিপ্লব ঘটাতে হবে

News Desk
  • আপডেট সময় : ১২:৪৩:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে । শিক্ষার হার বর্তমানে ৭৫.২ শতাংশ ।গ্রাম অঞ্চল পিছিয়ে নেই খুব একটা ।মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়েছে, মানুষের আকাঙ্খা বেড়েছে , চাহিদা বেড়েছে , জিনিস পত্রের দাম ও বেড়েছে । চাওয়া পাওয়া যেমন সত্য তেমনি সত্য, আমাদের সমাজে দূর্নীতি এবং অন্য উপায়ে সংক্ষেপে টাকা উপার্জনের ইচ্ছাটাই বেড়েছে।তার সাথে সাথে দূর্নীতিটাকে প্রাতিষ্ঠানিক একটি রূপে পরিণত করেছে।অথচ আমাদের শিক্ষার হার বেড়েছে ব্যাপক হারে। আমরা যে যে ধর্মেরই হই না কেন ধর্মীয় শিক্ষায় ও শিক্ষিত হচ্ছি। কিন্তু আমাদের জীবন ধারনে পরিচালনায় আমরা কতটুকু শিক্ষা কাজে লাগাচ্ছি  ? শিক্ষা নিশ্চয়ই ঘুষ দূর্নীতিকে সঠিক বলে না। বরং অপরাধ হিসেবে শিক্ষা দেয়।আমরা অনেকে একাডেমিক সনদ গুলো চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগাই এবং চাকুরি পাই ।এক শ্রেণীর তরুন এটাই মেনে নিয়েছে এবং এই মেধা মনন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে । মানুষের মধ্যে এক ধরনের বিশ্বাস যে আপনাকে দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে এবং ধনসম্পদ , পদ পদবিই হচ্ছে সফলতা । কিন্তু একজন কি উপায়ে তা অর্জন করল, সৎ ভাবে নাকি অসৎ উপায়ে তা বিবেচ্য বিষয় নয়।এমন ও শুনা যায় বা দেখা যায় ঘুষ নিয়ে গিয়েছেন অফিসে ,এমতা অবস্থায় ঘুষ গ্রহনে বলেছেন তাড়াতাড়ি দেন মসজিদে জামাত দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের বিশ্বাস যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে ক্ষমা করে দিবেন । কিন্তু তারা কি জানে না বান্দার হক যে নষ্ট করে তাকে  স্বয়ং আল্লাহ ক্ষমা করেন না,ঐ ব্যাক্তি ক্ষমা না করলে  তার ক্ষমা নাই  তার শাস্তি নিশ্চিত। আল্লাহ বান্দার হক বিনষ্ট কারীকে কখনোই পছন্দ করেন না। তারা কি জানে না ইসলামের নৈতিক ধারনা চিরন্তন সত্য এটা পরিবর্তন হয় না। প্রকৃতির নিয়মের মতই। যে কাজ আল্লাহর সাথে শান্তি স্থাপনে সাহায্য করে সেই কাজ নীতিসম্পন্ন ,আর যা করে না তা নীতিবিরোধী। ব্যবসা  বানিজ্যের ক্ষেত্রেও আমরা তাই। আমরা আল্লাহর নাম নিয়ে কসম করে মিথ্যা বলে মুনাফা অর্জনকেও সঠিক মনে করি।চাকরিতে ঘুষ আর ব্যবসাতে মিথ্যা এবং ভেজাল কথাবার্তা একরকম অধিকারে নিয়ে যাচ্ছি।যা কখনোই কাম্য নয় । এই বিপদগ্রস্থ একশ্রেণীর সমাজকে সঠিক পথে আনতে নৈতিক বিপ্লবের বিকল্প কিছু নেই। আমাদেরকে ভোগ বিলাস অন্যের হককে না হক করা এবং ভোগবাদ থেকে বের হয়ে আসতে হবে।সততা আদর্শ সত্য ন্যায় পরায়নতা হচ্ছে মূল শক্তি,যা আনে মানষিক শান্তি এবং যা গর্বের আনন্দের।তাহাই প্রতিষ্ঠা করতে হবে।আর এই পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন নৈতিক বিপ্লব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নৈতিক বিপ্লব ঘটাতে হবে

আপডেট সময় : ১২:৪৩:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশের শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে । শিক্ষার হার বর্তমানে ৭৫.২ শতাংশ ।গ্রাম অঞ্চল পিছিয়ে নেই খুব একটা ।মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়েছে, মানুষের আকাঙ্খা বেড়েছে , চাহিদা বেড়েছে , জিনিস পত্রের দাম ও বেড়েছে । চাওয়া পাওয়া যেমন সত্য তেমনি সত্য, আমাদের সমাজে দূর্নীতি এবং অন্য উপায়ে সংক্ষেপে টাকা উপার্জনের ইচ্ছাটাই বেড়েছে।তার সাথে সাথে দূর্নীতিটাকে প্রাতিষ্ঠানিক একটি রূপে পরিণত করেছে।অথচ আমাদের শিক্ষার হার বেড়েছে ব্যাপক হারে। আমরা যে যে ধর্মেরই হই না কেন ধর্মীয় শিক্ষায় ও শিক্ষিত হচ্ছি। কিন্তু আমাদের জীবন ধারনে পরিচালনায় আমরা কতটুকু শিক্ষা কাজে লাগাচ্ছি  ? শিক্ষা নিশ্চয়ই ঘুষ দূর্নীতিকে সঠিক বলে না। বরং অপরাধ হিসেবে শিক্ষা দেয়।আমরা অনেকে একাডেমিক সনদ গুলো চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগাই এবং চাকুরি পাই ।এক শ্রেণীর তরুন এটাই মেনে নিয়েছে এবং এই মেধা মনন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে । মানুষের মধ্যে এক ধরনের বিশ্বাস যে আপনাকে দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে এবং ধনসম্পদ , পদ পদবিই হচ্ছে সফলতা । কিন্তু একজন কি উপায়ে তা অর্জন করল, সৎ ভাবে নাকি অসৎ উপায়ে তা বিবেচ্য বিষয় নয়।এমন ও শুনা যায় বা দেখা যায় ঘুষ নিয়ে গিয়েছেন অফিসে ,এমতা অবস্থায় ঘুষ গ্রহনে বলেছেন তাড়াতাড়ি দেন মসজিদে জামাত দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের বিশ্বাস যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে ক্ষমা করে দিবেন । কিন্তু তারা কি জানে না বান্দার হক যে নষ্ট করে তাকে  স্বয়ং আল্লাহ ক্ষমা করেন না,ঐ ব্যাক্তি ক্ষমা না করলে  তার ক্ষমা নাই  তার শাস্তি নিশ্চিত। আল্লাহ বান্দার হক বিনষ্ট কারীকে কখনোই পছন্দ করেন না। তারা কি জানে না ইসলামের নৈতিক ধারনা চিরন্তন সত্য এটা পরিবর্তন হয় না। প্রকৃতির নিয়মের মতই। যে কাজ আল্লাহর সাথে শান্তি স্থাপনে সাহায্য করে সেই কাজ নীতিসম্পন্ন ,আর যা করে না তা নীতিবিরোধী। ব্যবসা  বানিজ্যের ক্ষেত্রেও আমরা তাই। আমরা আল্লাহর নাম নিয়ে কসম করে মিথ্যা বলে মুনাফা অর্জনকেও সঠিক মনে করি।চাকরিতে ঘুষ আর ব্যবসাতে মিথ্যা এবং ভেজাল কথাবার্তা একরকম অধিকারে নিয়ে যাচ্ছি।যা কখনোই কাম্য নয় । এই বিপদগ্রস্থ একশ্রেণীর সমাজকে সঠিক পথে আনতে নৈতিক বিপ্লবের বিকল্প কিছু নেই। আমাদেরকে ভোগ বিলাস অন্যের হককে না হক করা এবং ভোগবাদ থেকে বের হয়ে আসতে হবে।সততা আদর্শ সত্য ন্যায় পরায়নতা হচ্ছে মূল শক্তি,যা আনে মানষিক শান্তি এবং যা গর্বের আনন্দের।তাহাই প্রতিষ্ঠা করতে হবে।আর এই পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন নৈতিক বিপ্লব।